যশোর বেনাপোলে পোর্ট থানা এলাকার শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রামে নেশার টাকা না পেয়ে ৮ মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রী রুমা খাতুন নামে এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। রুমা খাতুন পোর্ট থানাধীন ইছাপুর গ্রামের খালেকের মেয়ে ও ঘাতক পাষন্ড স্বামী আরিফুল ইসলাম টুটুল শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রামের সাফিউল রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়,শনিবার দিবাগত রাতে শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রামে রুমা খাতুনের শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। পোর্ট থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখনো পযর্ন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
স্থানীয় অনেকেই বলেছেন,শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রামের প্রভাবশালী শীর্ষ মাদক সম্রাট ইউপি সদস্য মোমিন এর ভাতিজা আরিফুল ইসলাম।এখন ঘটনাটি ভিন্ন খাতে রুপ দেওয়ার জন্য সে বহাল তবিয়তে হুমকি ধামকি দিচ্ছে হত্যার শিকার হওয়া
নারী রুপা খাতুনের পিতার পরিবারকে।নেশার টাকা দিতে স্ত্রী রুমা অপরাগত প্রকাশ করলে তার উপর চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন।
নিহত রুপার মামা আব্দুর রহমান ও খালাতো ভাই রেজাউল ইসলাম অতি দুঃখের সাথে বলেন,আরিফুল ইসলাম একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত। প্রায় সময় মাদক সেবন করে স্ত্রী রুমা খাতুনের উপর পাশবিক নির্যাতন চালাতো।ভয়ে রুমা খাতুন বাপের বাড়িতে কাউকে জানাতো না।সে তার চাচা মোমিন ইউপি সদস্যর সাথে মাদক ব্যবসা করে।ইউপি সদস্য মোমিন ও ঘাতক আরিফুল ইসলামের নামে একাধিক মাদেকর মামলা রয়েছে।সম্প্রতি মোমিন বিজিপি কাছে হাতে নাতে ১০০বোতল ফেনসিডিল ও একটি মোটরসাইকেলসহ আটক হয়।এর আগে র্যাব তার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল সহ আবারও আটক করে।আর এই ব্যবসার সহযোগিতা করে দীর্ঘদিন আরিফুল ইসলাম টুটুল।নেশার টাকা না পেয়ে গভীর রাতে কোন এক সময় সবার অজান্তেই ০৮ মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রী রুমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নিজেকে আড়াল করতে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।
রুমা খাতুনের চাচাতো ভাই শামীম হোসেন বলেন,মাঝে মধ্যে স্বামী – স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ড হতো সংবাদ পেলে আমরা আমার বোনকে বাড়ি নিয়ে যেতাম।এই দিন যে ঘাতক এমন ঘটনা ঘটাবে আমরা কেউ কল্পনা করতে পারিনি।তিনি আরো জানান,ঘাতক আরিফুল ইসলাম রুমাকে প্রায়ই সময় হুমকি দিয়ে বলতো তুই যদি বাড়ি ফিরে না আসিস তাহলে তোর পিতাকে আমি খুন করবো। পিতাকে সে কথা রুমা তেমন জানাতো না। পিতাকে জীবন বাচানোর জন্য প্রায় সময় শ্বশুর বাড়িতে ফিরে যেত। এ ছাড়াও এ সব বিষয়ে থানা পুলিশকে জানালে তোকে জানে মেরে ফেলব।
এলাকার সচেতন মহলের দাবী বাংলাদেশের মাটিতে এমন ঘটনার জন্ম দিতে আর কেউ যাতে ঘটাতে না পারে সঠিক তদন্ত করে দৃষ্ঠান্তমূলক ফাঁসির দাবি জানিয়েছে।
Leave a Reply