যশোর সদরসহ আটটি উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বেড়েই চলেছে যা দেখার কেউ নেই। ব্যবসায়ীরা বেপরোয়াভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন আমদানি ও বিক্রয় করলেও স্থানীয় প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে নীরব ভূমিকা পালন করে চলেছে। স্থানীয় হাট বাজার ও পাইকারি দোকানগুলোতে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে,বড় বড় মোকামে মুদি দোকানে বিভিন্ন সাইজের নিষিদ্ধ প্যাকেট পলিথিন পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হচ্ছে।
এসব পলিথিনের ক্রেতা চিড়া,মুড়ি,গুড় ব্যবসায়ী,মিষ্টি ব্যবসায়ী,মাছ ব্যবসায়ী খুচরা মুদি ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী। ভোক্তারা দোকান থেকে কৌন কিছু ক্রয় করলে সে সকল পণ্য পলিথিনে ভরে দিচ্ছে তারা।পণ্য সামগ্রী ব্যবহারের পর পলিথিনের ব্যাগগুলো যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছে তারা। এর ফলে বর্জ্য পলিথিন মাটিতে পড়ে একদিকে ফসলি জমিগুলোর মাটির উর্বর শক্তি নষ্ঠ হচ্ছে অপর দিকে ড্রেন নদী নালা খাল-বিলে গিয়ে ভরাট হয়ে পানির স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।নিম্নমানের পলিথিনের খাদ্য মোড়ক করায় তাতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্ষতিকর পলিথিন ব্যবহারে সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তা মানছে না কেউ। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে লোক দেখানো অভিযান চালালেও কাজের কোন কিছুই হয়নি, বরং ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
এ ব্যাপারে একাধিক ব্যবসায়ীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে পলিথিন ব্যবসায়ীরা জানান, যশোর- খুলনা – ফুলতলার একজন ব্যবসায়ী শিল্প- বন্দর নগরীর নওয়াপাড়ার পৌরসভার মহাকাল পট্রিসহ বিভিন্ন অলি -গলিতে পলিথিনের ব্যাগ সরবরাহ করে থাকেন। সৌখিন ভোক্তাগংরাই বেশি ব্যবহার করে থাকেন।আজ প্রশাসন নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করবে কী তাদের হাতের মুঠোর মধ্যে পলিথিনের পণ্য সামগ্রী নিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেতে লক্ষ্য করা গেছে। সাধারণ জনগণ আর কী করবে? এখন কাগজের ঠোঈায় পণ্য দিলে অনেকেই নিতে চায় না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা পলিথিনের ব্যাগ দোকানে রাখি।
শিল্প শহর নওয়াপাড়ায় এখন কাগজের ঠোঈার শ্রমিকরাও বেকার হয়ে গেছে। অনেক মহিলারা কাগজের ঠোঈা তৈরী করে সংসার চালাতো।তারা এখন মানবেতরের নিচে বসবাস করছে। এ সকল নারীরা ছিল অসহায়।
জেলার মনিরামপুর,কেশবপুর,ঝিকরগাছা,শার্শা,চৌগাছা,বেনাপোল,বাঘারপাড়া ও শিল্প শহর নওয়াড়ার পাইকারি ব্যবসায়ীরা আক্ষেপ করে বলেছেন, আমরা জানি, পলিথিন ব্যবহারের ফলে এতে পরিবেশ দূষণ হয়ে মশার জন্ম হচ্ছে অন্যদিকে কৃষি জমিতে পড়ে মাটির উর্বরতার ক্ষতি হচ্ছে। সরকার সেদিকে দৃষ্ঠি না দিয়ে আমাদের মতো খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের উপর কেন জরিমানা করেন? সরকার যদি পলিথিনের কারখানাগুলো বন্ধ করে দেন তাহলে এর সমাধান হবে।
সচেতন মহলের দাবি, বাজারে অনতিবিলম্বে পলিথিনের কারখানা বন্ধ করে বিকল্প ব্যাগ বাজারজাত করতে হবে।তাহলে পলিথিন রোধ করা সম্ভব।
Leave a Reply