যশোরে বদিউজ্জামান ধনী হত্যার রহস্য উন্মোচন:গ্রেফতার-৩
যশোরে যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধনী(৫২)হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে যশোর ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ। দলীয় কোন্দল ও জামাই ইয়াছিন খুনের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বিএনপি নেতা মানুয়ারের নির্দেশে খুন করা হয় জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধনীকে।পুলিশের তদন্তে এসব তথ্য স্পষ্ঠ হয়েছে।এ ঘটনায় পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত রায়হান আল আমিনসহ তিনজনকে আটক করেছে।একই সাথে হত্যার মিশনে ব্যবহৃত দুটি গাছি দা,একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার ১৪জুলাই বেলা একটার সময় যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিক সন্মেলনে এ সব তথ্য জানান,যশোর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদ্দার।গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি যশোর রেল রোডের টিভি ক্লিনিক মোড়ের ফরিদ মুস্নির ছেলে রায়হান(২৫)।হত্যা মামলার ৭ নম্বর আসামি শংকরপুর হারানবাড়ি এলাকার বাবু মীরের ছেলে ইছা মীর।
ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে টিভি ক্লিনিক এলাকা ও খুলনা দিঘলিয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে শহর বেজপাড়া আকবর মোড়ের ভাঙ্গারি পট্রির মসজিদ এর পাশের পুকুর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।এর আগে এই মামলার অন্যতম আরেক আসামি টিভি ক্লিনিক এলাকার রইজের ছেলে চোর আলামিনকে যশোর র্যাব-৬ আটক করে।
পুলিশ সুপার আরও জানান,আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে নিহত বদিউজ্জামান ধনী যশোর জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।একই এলাকার ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আসামি শামীম আহম্মেদ মানুয়া এর মধ্যে দীর্ঘদিনের দলীয় কোন্দল এবং মানুয়া এর জামাতা ইয়াছমিন আরাফাত এর হত্যাকে কোন্দল করে ও দলীয় বিএনপির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে বদিউজ্জামান ধনীকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়,নিহত বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে ০২টি হত্যা মামলা,০১টি অস্ত্র মামলা,০১টি সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলা ও ০১ টি বিস্ফোরক জাতীয় মামলাসহ মোট ১২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।এ ছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামি রায়হানের বিরুদ্ধে ০১টি অস্ত্র মামলা,০১টি মাদক মামলা ও ০২টি চাঁদাবাজি মামলাসহ ০৪টি মামলা বিচারাধীন আছে।
যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধনী(৫২)গত মঙ্গলবার (১২ জুলাই )দূবৃত্তদের হামলার শিকারে নিহত হয়।শহরের শংকরপুর আকবর মোড়ের বেলা ১২ টার দিকে তাকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়।
এই ঘটনায় নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।অভিযুক্তরা হলো:বেজপাড়া টিভি ক্লিনিক গোডাউনের সামনে আশ্রম রোডের আলীমের ছেলে আকাশ (২৫),মোহাম্মদ ফরিদের ছেলে রায়হান(২৪),শংকরপুর চোপদারপাড়ার মৃত আ:রশিদের ছেলে শামীম আহমেদ মানুয়া(৪৮),মিরাজুর বিশ্বাসের ছেলে মন্টু(২২),একই এলাকার রইস উদ্দিনের ছেলে আল আমিন ওরফে চোর আলামিন(২৫),আফসারের ছেলে মিলন(২৪),শংকরপুর হারান কলোনীর বাবু মীরের ছেলে ইছা মীর(২০)ও চোপদারপাড়া রোডের মৃত হুজুর ইয়াসমিনের বাড়ির পাশে লাভলুর ছেলে রিজভী(২৬)।
Leave a Reply