যশোরে ভৈরব নদ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে জনউদ্যোগ এর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে ৮ জুন (বুধবার) সকালে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক হুসাইন শওকত।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে যশোর শহরের ভৈরব নদে ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু তোলা হচ্ছে। এটা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। এতে ভূমিধ্বসের সৃষ্টি হয়ে লোকালয়সহ ব্যাপক এলাকার অপরিসীম ক্ষতি হতে পারে। এজন্য কোথাও এ বেআইনী কাজটি হলে প্রশাসনের দায়িত্ব হলো সেটা ঠেকানো। কিন্তু প্রশাসন সেটা করছেনা। যশোরের ক্ষেত্রে প্রশাসন এ ব্যাপারে উদাসিন বলে মনে হয়। প্রশাসন তাদের সমর্থন না দিলেও প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে বীর দর্পে অপরাধ করেই যাচ্ছে। যশোর শহরে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। জনউদ্যোগে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয় তুলে ধরে।
একই দাবিতে বুধবার স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে আগামীতে যশোরবাসীকে নিয়ে আন্দোলন করা হবে। বালু উত্তোলন করতে গিয়ে জনগণের চলাচলেও সমস্যার সৃষ্টি করা হচ্ছে। পাইপের সাহায্যে বালু তুলতে রাস্তা খুঁড়ে উঁচু করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সব স্থানে প্রতিনিয়ত ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই আছে।সেই সাথে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
বালু তোলা যেমন অপরাধ অপরদিকে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তেমনি পুকুর বন্ধ করাও শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এই বালু তুলে পুলিশ লাইনের মধ্যবর্তী স্থানে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। বালু তোলা যেমন পরিবেশ বিরুদ্ধ কাজ তেমনি পুকুর ভরাট করা পরিবেশ বিরোধী কাজ করা হচ্ছে। জনউদ্যোগ দাবি করছে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িতদের যথাযথ শাস্তির আওতায় আনা হোক।
স্মারকলিপি দেয়ার সময় উপস্থতি ছিলেন সংগঠনের আহবায়ক প্রকৌশলী নাজির আহমদ, প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকুনউদ্দোলাহ, সিপিবি যশোর জেলা কমিটির সভাপতি ও জনউদ্যোগ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ও জন উদ্যোগ সদস্য মাহাবুবুর রহমান মজনু, সমাজের কথার বার্তা সম্পাদক ও জনউদ্যোগ সদস্য হাবিবুর রহমান মিলন, নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট আফরোজা বেগম, আইইডি যশোর কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক বীথিকা সরকার, জনউদ্যোগ সদস্য সচিব কিশোর কুমার কাজল প্রমুখ।
Leave a Reply