বান্দরবানের থানচির গহিন পাহাড় থেকে উদ্ধার হওয়া নারীর মরদেহের প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সোমবার তিন্দু ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মংখ্যংপাড়া এলাকার গহিন পাহাড়ে একটি পাথুরি ঝিরির খাদ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চিংমা খেয়াং (২৯) মংখ্যংপাড়ার বাসিন্দা সুমন খেয়াংয়ের স্ত্রী। সোমবার গহিন পাহাড়ে জুম চাষ করতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সোমবার বিকেলে জুমক্ষেতের পাশে গভীর পাথুরি ঝিরিতে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মংখ্যংপাড়া এলাকার গহিন পাহাড়ের জুমক্ষেত পার্শ্ববর্তী পাথুরে ঝিরির ৫০ ফুট গভীর খাদ থেকে চিংমা খেয়াংয়ের মরদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে কোনো ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। তবে আরো অধিকতর তদন্ত করতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, সোমবার বিকেলে খেয়াং নারীর মরদেহ পাওয়ার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, হেডম্যান, কারবারি (পাড়াপ্রধান) উপস্থিতিতে প্রাথমিক তদন্ত শেষে মরদেহ উদ্ধার করে থানচি থানা পুলিশ। পাড়াপ্রধান ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জুমক্ষেতের পাশে ঝিরির ৫০ ফুট গভীরে মাথা নিচের দিকে থাকা অবস্থায় মরদেহটি পড়ে ছিল।
মাথা রক্তাক্ত ছিল এবং শরীরে কাপড়ের কিছু অংশ ছেঁড়া ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গভীর ঝিরিতে পড়ে যাওয়ার সময় গাছের সঙ্গে লেগে কাপড় ছিঁড়ে থাকতে পারে।
জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি ও পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে কাজ করছে। ওই নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বিভ্রান্তিকর তথ্য শেয়ার করছেন, যা সহিংসতা সৃষ্টিসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়।
Leave a Reply