মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কাইচাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনকে (৬৩) ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার করা হয়েছে। গত কাল বৃহস্পতিবার (৫ মে) স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মেট্রোম্যানিলা টাফ্ট অ্যাভিনিউতে এ ঘটনা ঘটে। আনোয়ার মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কাইচাইল এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। নিহতের প্রতিবেশী এবং একসাথের অপর ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, নিহত আনোয়ার হোসেন ১৯৯৬ সালে ফিলিপাইনে যান। পরে তিনি ওই দেশে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন। ফিলিপাইনে আমাদের গার্মেন্টস ব্যবসার একটা এসোসিয়েশন আছে। আনোয়ার ভাই সেই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। সে আমাদের ব্যবসার ওইখানে সার্বিক সহযোগিতা করত। সে আমাদের মাথার তাজ ছিলো। সে ফিলিপাইনের পাসপোর্টধারী ছিল। তার লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
নিহতের চাচাতো ভাই অপর আনোয়ার হোসেন বলেন, ৪/৫ মাস আগেও আমার ভাই দেশে আসছিল। সে দীর্ঘ ২৬বছর যাবৎ ফিলিপাইনে বসবাস করে ওখানে ব্যবসা করে আসছিল। সে ওইখানে বিয়ে করেছিলো। আনোয়াররা ৭ ভাই। বাকি ৬ ভাই সবাই দেশে থাকে। দেশের অন্য ভাইদের সাথে তার সবসময় যোগাযোগ ছিল। তিনি আরো বলেন, নিহত আনোয়ার এর জানাজা ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারপর তার লাশ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। তার লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাস্তার পাশে ফুটপাত ধরে হাটার সময় সাদা টিশার্ট পরিহিত আনোয়ারকে পেছন থেকে মাথায় গুলি করে একজন অস্ত্রধারী৷ ঘটনার পরপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সাথে সাথে দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঘাতক। নিহতের আত্মীয় নুরুল আমিন ও প্রতিবেশীরা বলেন, গত ২৬ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ফিলিপাইনে প্রবাসী হিসাবে ছিলেন। গত ১২ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে ফিলিপাইনে বিক্রির ব্যবসা করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে অফিসে যাচ্ছিলেন তিনি। পথেই অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি তাকে গুলি করে। গুলির পরপরই স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত একজনকে ফিলিপাইন পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবার। নিহতের পরিবার ও সহকর্মীদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছেন তারা।
Leave a Reply