লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলাধীন ভারত নিয়ন্ত্রিত ‘তিনবিঘা করিডোর’ পেরিয়ে দহগ্রাম ইউনিয়নের গরু পারাপার বিষয়ে বিজিবির সঙ্গে আইন সঙ্গত কথা বলা নিয়ে বিজিবি কর্তৃক লাঞ্ছিত ও বিজিবি সোর্সম্যান কর্তৃক সাংবাদিক শামসুদ্দোহাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়।
শনিবার (০৯ জুলাই) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে করিডোর গেইটের পাশেই এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। গরু পারাপারে স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে (খাতার তালিকার সাথে নাম,ঠিকানা ও ছবি মিলিয়ে দেখার অনুরোধ করায়)বিজিবির সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে, বিজিবির পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার ও পানবাড়ি ক্যাম্প কমান্ডার দৈনিক জাগরণের পাটগ্রাম প্রতিনিধি শামসুদ্দোহাকে ও সাংবাদিকতা পেশাকে জড়িয়ে অকথ্য ভাষায় নোংরা গালাগাল করেন বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শী সচেতন নাগরিকগন বিজিবি’র এতো নোংরা আচরণ ও দুর্ব্যবহারে হতবাক ও লজ্জিত বলে মন্তব্য করেন।
সাংবাদিক দোহার সাথে জঘন্যতম নোংরা ও উস্কানিমূলক আচারণের সুযোগে চোরাকারবারির মুলহোতা বিজিবির সোর্সম্যান বাঘা ময়নুল নামে পরিচিত, বিজিবির উপস্থিতিতে কোদাল দিয়ে ওই সাংবাদিককে হত্যার চেষ্টা করেন। বিজিবির আর এক সোর্সম্যান (বঙ্গেরবাড়ী ক্যাম্প) ভারতীয় চোরাই গরু’র লাইনম্যান সুজন ও অবৈধ পন্হায় আসা ভারতীয় চোরাই গরু ব্যবসায়ী সাহেব আলীসহ আরও বেশ কয়েকজন তাকে মেরে ফেলার পায়তারা করেন, বিভিন্ন ভাবে উত্তেজিত কথাবার্তা ও গালিগালাজ করে সিন্ডিকেটের লোকজনদের ডাকতে থাকে,এবং বলতে থাকে ধর বেটাকে আজকে মেরে ফেলবো গুম করে দিবো,সাংবাদিকতা শিখিয়ে দিবো,এসব বালের সাংবাদিককে মারলে কিছুই হবে না,আইন প্রশাসন আমাদের কিছুই করবে না,এমন আরও অনেক কথাবার্তা বলেন বলে জানাযায়।
এসম্পর্কিত একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, সাংবাদিক কথা বলছেন বিজিবির সাথে, এতে বাঘা ময়নুল,সুজন,সাহেব আলীসহ আরও বেশকয়েক জন কেন হঠাৎ করে সাংবাদিকের উপর চড়াও হলো,তাদের সাথে বিজিবির সম্পর্ক বা সংযোগ টি কিসের।এতে বিজিবি ও চোরাকারবারিদের সম্পর্কের কোন উৎসে আঘাত লাগলো,এমনটাও শোনা যাচ্ছে জনতার মুখে।
এখন প্রশ্ন হলো দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা বাংলাদেশের নাকি ভারতের,যদি বাংলাদেশের হয় তাহলে সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশে এতো বাধা কেন?সীমান্তে বিজিবির আত্মত্যাগের কথা আমরা শ্রদ্ধাভরে স্বরন করি,তবে গুটিকয়েক সদস্যদের কারনে বিজিবির গৌরবদীপ্ত সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে, এমনটা কারও কাম্য নয়,এভাবে আলোচনা করছেন অনেকেই। তাই বিজিবির উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে সাধারণ জনতার দাবী তদন্ত পুর্বক সিসিটিভি ফুটেজ ও উপস্থিত জনতার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে দোষী বিজিবির সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান এবং হাটে বাজারে আলোচনা করছেন সাধারণ মানুষ।
Leave a Reply