বান্দরবানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৮ জুলাই শুক্রবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সহযোগিতায় এই প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতীকী ম্যারাথন উপলক্ষ্যে ভোর ৭টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রাঙ্গণে প্রতীকী ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই।
পরে প্রতীকী ম্যারাথন শুরু হয়ে বান্দরবানের মেঘলা পর্যটন এলাকা থেকে পাহাড়ি আকা-বাকা পথ পেরিয়ে দৌড়বিদরা প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ শেষ করে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে সমবেত হয়।
৬০ জন নারী আর ১১০ জন পুরুষ দৌড়বিদ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় আর প্রতিযোগিতায় নারীদের মধ্যে প্রথম হয় ঞাইচিং মার্মা, ২য় হয় অনিমা তংচঙ্গ্যা ও ৩য় স্থান অর্জন করে উবামে র্মামা। অন্যদিকে পুরুষ ইভেন্টে প্রথমস্থান অর্জন করে আব্দুল্লা আল নোমান,২য় হয় পার্থ রুদ্র ও ৩য় স্থান করে আথুইমং মারমা ।
পরে সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের প্রাঙ্গণে প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.আবু তালেব, জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বান্দরবান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো:এনায়েত করিম,নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো.আসিফ রায়হান, সম্মিলিত ক্রীড়া পরিষদ বান্দরবানের সভাপতি আজাহারুল ইসলাম বাবুল, ক্রীড়াবিদ ও ধারাভাষ্যকার মাহফুজুর রশীদ বাচ্চু, সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী’ সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ক্রীড়াবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, বান্দরবানের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে আমরা নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি এবং আগামীতে তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করব। এ সময় জেলা প্রশাসক আরো বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বান্দরবানে প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে আর এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জুলাইকে আমরা স্মরণ করব এবং স্মরণ রাখব।
এ সময় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৬০ জন নারী ক্রীড়াবিদদের মধ্যে ১০ জন ও ১১০ জন পুরুষ দৌড়বিদ এর মধ্যে ২০ জন ক্রীড়াবিদকে ক্রেস্ট ও মেডেল প্রদান করেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি।
Leave a Reply