কুড়িগ্রামের চিলমারীতে “ভালো কাজের হোটেল ” এর কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আয়োজনে প্রতিদিন ৪০০ জন অসহায় মানুষদেরকে ইফতার করানো হচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে চিলমারীতে, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চলছে তাদের এই কার্যক্রম। যে কোন একটি ভালো কাজ করলেই মিলছে এক বেলার খাবার। রমজান মাস উপলক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষ, হতদরিদ্র মানুষ এবং পথচারীদের জন্য বিনামূল্যে ইফতারের সুযোগ করে দিচ্ছেন এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। টাকা না থাকলেও যে কোন একটি ভালো কাজ করলেই সেখানে মিলবে ইফতার। পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন চিলমারীর বিভিন্ন স্থানে চলবে এমন ব্যতিক্রমী কার্যক্রমটি। আপাতত রমজান মাস উপলক্ষে কার্যক্রমটি চলছে, রমনা রেল স্টেশনের পুর্ব দিকে শেষ মাথায়। মানুষকে ভালো কাজ করতে এবং ভালো কাজে উৎসাহ জোগাতে, রাজধানীর একদল তরুণ এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যাত্রা শুরু করেন ২০১৯ সালে। এতে ভালো কাজের কথা জানিয়ে ইফতারের সুযোগ পাচ্ছে অসহায় মানুষেরা। প্রতিদিন ইফতারের মেনুতে থাকছে খিছুরী, মুরগীর রোস্ট এবং শরবত। এছাড়াও কখনো থাকে গরুর গোস্তের তেহেরী। ইফতার করতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ‘আমরা রমজানের শুরু থেকে এখানে এসে বসে ইফতার করি। রমজানের আগে ও আমাদের কে ভাত দিয়ে ছিলেন। এখন প্রত্যেকদিন যে কোন একটি ভালো কাজ করার চেষ্টা করি। কারণ ভালো একটি কাজ করতে পারলে এখানে ফ্রিতে ইফতার পাওয়া যায়। কোনো টাকা পয়সা দেয়া লাগে না। এখানে প্রতিদিন মানুষের জন্য থাকছে ইফতার আয়োজন। একটি ভালো কাজের অভ্যাস, বদলে দেবে আমাদের এ সমাজ, এমনটাই প্রত্যাশা তাদের। ভালো কাজের হোটেলের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সদস্য লিমন আহম্মেদ, রাঙা মিয়া বলেন, কে কি ভালো কাজ করে এসেছে, এটা আমরা শুনি এবং তা খাতায় লেখি। রমজানের আগে এক বেলা খাবার দিতাম। এখন ইফতারের নিয়মিত কার্যক্রমে থাকছে, প্রতিদিন ৪শ মানুষের জন্য ইফতার পাটি, এই আয়োজন আমাদের পুরো রমজান মাসে চলমান থাকবে বলে জানান তারা। রাঙ্গা মিয়া এবং লিমন আহম্মেদ ছাড়াও আরো সেচ্ছাসেবক হিসাবে আছেন মেহেদী হাসান, সায়েম মিয়া, বুলবুল মিয়া, লিমন মিয়া, কামরুল ইসলাম, জামিদুল ইসলাম, ফাহিম মিয়া, চাঁদ মিয়াসহ আরও অনেকে। প্রতিদিন ফ্রিতে ইফতার পাওয়া মানুষেরা বলেন, এটা আমাদের জন্য খুবই উপকার হয়েছে। আমরা অভাবের কারণে অনেকেই এ ভাবে, প্রতিদিন ইফতার করতে পারিনা। যাদের আয়োজনে আমরা আজ ইফতার করতে পারছি, আল্লাহ্ তাদের সবাইকে যেন সব সময় সুস্থ রাখেন এবং নেক হায়াত দান করেন। এই বলে তারা সবাই “স্বেচ্ছাসেবকদের” জন্য দোয়া করেন।
Leave a Reply