যশোর শিশু হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক আনাফকে (৮দিন) পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী গ্রাম থেকে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তবে শিশুটিকে যে চুরি করেছিল পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি। এমনকি তার পরিচয় জানতে পারেনি।তবে শিশুটিকে যার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তার নাম আকলিমা খাতুন (২১)। তিনি ওই গ্রামের আলম শেখের স্ত্রী। বাসের মধ্যে এক নারী শিশুটিকে তার কোলে দিয়ে সটকে পড়ে।
যশোরের উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই এজাজুল হক জানিয়েছেন, গত রোববার যশোর উপশহরস্থ শিশু হাসপাতাল থেকে শিশুটি চুরি হওয়ার পর তার পিতা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ফয়লা গ্রামের মেহেদী হাসান জনি (২৮) যশোর কোতয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দেন।অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার শিশুপুত্র আনাফ অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি যশোর শিশু হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে তার স্ত্রী আসমা বেগমের সাথে তার শাশুড়ি তাছলিমা বেগম ছিলেন। শিশুটি সুস্থ হলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। তিনি বাড়িতে যাওয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে উপশহরের দিকে যান। সে সময় অজ্ঞাত দুই নারী তাদের রুমে যায়এবং শিশুটি কোলে করে আদর করতে থাকে। তার শাশুড়ি কাপড় ও বেডিং গোছাতে থাকেন। এই সুযোগে অজ্ঞাত দুই নারী কৌশলে হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে নিয়ে চলে যায়। অনেক স্থানে খোঁজাখুজি করে সন্ধান মেলেনি।
এসআই এজাজুল হক জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি সোর্স মারফর মাগুরার সিমাখালী উপজেলার শতখালী গ্রামের আকলিমার বাড়ি থেকে তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে আকলিমা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি একটি বাসে করে মাগুরার সীমাখালী যাওয়ার পথে মাঝের এক বাসস্টপে এক নারী শিশুটিকে তার কোলে দিয়ে গরম পানি আনার জন্য বাস থেকে নামে। এরপর আর ফেরৎ আসেননি। ফলে শিশুটি কান্নাকাটি করলে তিনি বাড়িতে নিয়ে যান এবং আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। এছাড়া বাসের মধ্যে অনেক যাত্রীকেও বিষয়টি তিনি জানিয়েছেন। তবে ওই নারীকে তিনি চেনেন না বলে আকলিমা জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আরো গভীর তদন্ত করছে। এছাড়া সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। চুরি হয়ে যাওয়া শিশুকে ফেরৎ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা তার মা। শিশুটির পিতা মেহেদী হাসান জনি শিশুটিকে ফেরৎ পেয়ে পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
Leave a Reply