ছোট্ট শিশু ইয়াকুব। বয়স মাত্র ছয় মাস। এ বয়সে হেঁসে খেলে বাবা-মায়ের মুখের হাঁসি ফুঁটানোর কথা। কিন্তু তাদের সেই হাঁসি মলিন হয়ে গেছে, শিশুটি কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করে দিন কাটছে শিশুটির। শিশুসন্তানের এই কষ্ট সইতে না পেরে কাতর হয়ে পড়েছে দারিদ্র্য বাবা-মা। সন্তানকে বাঁচাতে মানুষের কাছে সাহায্যের আকুতি করছে তারা।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নের চদ্রিমাঝি গ্রামের দিনমজুর কামাল হাওলাদারের ছেলে ইয়াকুব। চার ভাই-বোনের মধ্যে ইয়াকুব সবার ছোট। পরিবার বলছে, মাসখানেক ধরে ইয়াকুব অযহ্য যন্ত্রণায় কাতর হয়ে ছিল। এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে ইয়াকুবের ধরা পড়ে রক্তশূণ্যতা, শ্বাসকষ্ট ও হৃদযন্ত্রের (হার্ট) পাশের হাড় ফাক হয়ে গেছে। সেখানকার কর্তব্যরত আবাসিক চিকিৎসক ডা. জে.এইচ খান লেলিন প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ইয়াকুবকে দ্রুত ঢাকা নিয়ে অপারেশন ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানায় শিশুটির বাবা-মা।
শিশুটির চিকিৎসার জন্য এখন কমপক্ষে এক লক্ষ টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু অভাব-অনটনের সংসারে দারিদ্র্য বাবার পক্ষে এই টাকা জোগার করে ছেলের চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তাই শিশু সন্তানকে বাঁচাতে নিজ এলাকার মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মা। আর বাবাও চাইছেন সহায়তা। কিন্তু এভাবে তাদের পক্ষে সন্তানের চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ সম্ভব হচ্ছে না। তাই যতই দিন যাচ্ছে, ওই শিশুর বেঁচে থাকার আশা ততই অনিশ্চয়তায় পড়ছে। শিশু ইয়াকুবের মা খাদিজা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলেকে বাচাইতে (বাঁচাতে) চাই। আমনেরা কেই (কেউ) যদি থাকেন (আপনারা) আমার ছেলেকে বাচাইতে সাহয্য করেন।’
এই মুহূর্তে সকলের সহযোগিতা হয়তো দিতে পারে শিশু ইয়াকুবের দীর্ঘজীবন। শিশুটিকে বাঁচাতে যে কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। শিশু ইয়াকুবের বাবা কামাল হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর: ০১৭৮৬৩৮৩৯৬৪।
Leave a Reply