২২ জানুয়ারি ২০২২ ইং ভোর অনুমানিক ৫ঃ০০ ঘটিকায় ভিকটিম মহির উদ্দিন(৫০) বাসা থেকে মাছ কিনতে যাত্রাবাড়ি মৎস্য আড়তের উদ্দেশ্যে বের হন।তিনি সাদ্দাম মার্কেট মেইন রোড থেকে একটি লেগুনা গাড়িতে উঠেন। গাড়িটি যাত্রাবাড়ি মৎস্য আড়তের সামনে না থেমে গুলিস্তানগামী ফ্লাইওভারের উপরে উঠে যায়।
যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তা বরাবর ফ্লাইওভারের উপরে লেগুনার ড্রাইভার, হেলপার সহ চারজন ছিনতাইকারী ছিনতাই করে চলন্ত গাড়ি থেকে ভিকটিম মহিরকে ফেলে দেয়। এক চালক ভিকটিমকে হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বিল্লাল আল আজাদ সিসি ফুটেজে প্রাপ্ত লেগুণাটি সনাক্ত করার জন্য যাত্রাবাড়ি, পোস্তগোলা, কোনাপাড়া, চিটাগাং রোড, জালকুরি লেগুনা স্ট্যান্ডে কখনো হেল্পার কখনো যাত্রীবেশে চেষ্টা করতে থাকেন। এভাবে লেগুনার পিছনে লাল রঙের একটি নির্দিষ্ট চিহ্ন সিসি ফুটেজ দেখে লেগুনাটিকে একটি গ্যারেজ থেকে আটক করেন। লেগুনাটি আটকের পর ড্রাইভার ও হেল্পার সম্পর্কে তথ্য নিয়ে জানা যায় উক্ত লেগুনার মূল ড্রাইভার তার শ্বশুরবাড়ি মাদারীপুর গিয়েছেন। উক্ত ড্রাইভারকে তার শ্বশুরবাড়ি মাদারীপুর থেকে আটকের পর জানা যায় ঘটনার আগের দিন লেগুনাটি আাসামী মনজু ও আবদুর রহমানের কাছে ছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা কদমতলী এলাকা থেকে আব্দুর রহমানকে আটক করেন।
আবদুর রহমানের তথ্য অনুযায়ী রিপনকে কদমতলী এলাকা থেকে আটক করা হয়। রিপনের তথ্য অনুযায়ী চিটাগাং রোড লেগুনা স্ট্যান্ড থেকে লেগুনার হেলপার সেজে ঘটনার মূল আসামী রুবেলকে আটক করা হয়। রুবেল ও আব্দুর রহমান কোন মোবাইল ব্যবহার করতো না। পরবর্তীতে তাদের তথ্য অনুযায়ী ৪ নাম্বার আসামী মঞ্জুকে আটক করা হয়।
যাত্রাবাড়ি থানার মামলা নং- ১১১ তারিখঃ ২৩/০১/২০২২ ইং ধারা- ৩২৮/৩০২ পেনাল কোড।বাদীর নামঃ খাইরুল ইসলাম(২৫), পিতাঃ মৃত মহির উদ্দিন, গ্রামঃ কিরাটন, গাংপাড়া থানা, করিমগঞ্জ , কিশোরগঞ্জ।
আটককৃত আসামী: ১,রিপন ২,রুবেল, ৩.মনজু, ৪,আ: রহমান,উদ্ধার : লেগুনা গাড়ী, ২০০০ টাকা।
বর্তমান পরিস্থিতিঃ গ্রেফতারকৃত চার আাসামী উক্ত ঘটনা স্বীকার করে বিজ্ঞ আাদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলাটি তদন্তাধীন।
Leave a Reply