1. admin@dwiptv.com : dwiptv.com :
  2. dwiptvnews2121@gmail.com : sub editor : sub editor
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন

যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি

 উৎপল ঘোষ (ক্রাইম রিপোর্টার) যশোর
  • আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি
যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিটের চতুর্থ ও পঞ্চম তলা নির্মান কাজ করতে এসে প্রায় এক লাখ টাকার মালামাল চোরেরা নিয়ে গেছে। জানা যায়, হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিটে নির্মান কাজ চলাকালীন সময় প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে নির্মান কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি চুরি হয়েছে। নির্মান শ্রমিকেরা কাজ শেষে সেখানে একটি কাঠের বক্সের মধ্যে তাদের কাজের ব্যবহৃত মালামাল যন্ত্রপাতি রেখে ছাদের দরজা বন্ধ করে দিয়ে যেত। শুক্রবার কাজ বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার কাজ করে চলে যাবার পর শনিবার কাজে যোগদান করে অনেক মালামাল যন্ত্রপাতির সন্ধান না পেয়ে শ্রমিকরা এবং ঠিকাদার হতাশ হয়ে পড়েছেন।

 

হাসপাতালের নির্মান কাজের ঠিকাদার শামীম বলেন, আমাদের অনেক মালামাল চুরি হয়ে গেছে। আমরা কাজ শেষ করে রাতে রেখে যাই, পরের দিন সকালে এসে আর পাইনা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মালামলের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যপারে কোন দায়িত্ব নেয়নি তবুও হাসপাতালে এতো পুলিশ, গার্ডের নিরাপত্তা থাকার পরও মালামাল চার তলা থেকে নামিয়ে চুরি করে নিয়ে যায়।

 

ঠিকাদার খোকন অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে কাজ করার সময় গত এখান থেকে ২টা ড্রিল মেশিন, ৩টা গ্রান্ডিং মেশিন, ৮টি টোন বোল্ড, সাবমারর্সেবল মোটর, নাট বোল্ট ১ বস্তা, হেমার ড্রিল ২টি সহ রড, এসএস  টিনের সিট সহ প্রায় লক্ষ টাকার নির্মান কাজে ব্যবহৃত মালামাল যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গেছে। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পর হাসপাতালের সুপার স্যার এসে দেখে গিয়েছে। তারপর থেকে আমরা এখানে মালামাল রাখছি না। আর কোন পাহারাদাও দেওয়া হয়নি। তবে আমাদের মালামাল দূর থেকে বহন করে নিয়ে আসা এবং নিয়ে যাওয়া খুব কষ্টসাধ্য।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু হাসপাতালের নির্মান কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি নয়, প্রায় সময়ই হাসপাতালে অভ্যন্তরীন বিভিন্ন জায়গায় চুরির ঘটনা অহরহ ঘটছে। হাসপাতাল চত্তরে চোরের পদচারণা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারনা হাসপাতালের কর্মচারীদের। এ ব্যপারে আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরএমও ডা. আরিফ আহমেদ জানান, চুরির বিষয়টি শুনেছি। হাসপাতালে রাতে গার্ড থাকে। কিন্তু তারা হাসপাতালের মধ্যে গার্ড দেয়। আর ঠিকাদারদের মালামাল যন্ত্রপাতি তাদের নিজ দায়িত্বে তদারকি নিরাপত্তায় রাখার কথা আগে থেকেই বলা হয়েছিলো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

আমাদের এন্ড্রয়েড এপস আপনার মোবাইলে ইন্সটল করুন।

Developer By Zorex Zira