যশোরে আরও ৩৫ জনের দেহে করোনার সংক্রামক ধরণ ওমিক্রন ধরা পড়েছে। এই নিয়ে জেলায় মোট ৩৮ জন ওমিক্রনের রোগী শনাক্ত হলো। এই তথ্য নিশ্চিত করে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, রোববার যশোরে ৪০৬ টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ১৯৪ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩৫ জন ওমিক্রন রোগী রয়েছেন বলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার নিশ্চিত করেছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা কমিটি সোমবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে জুম মিটিং করবেন। ১৯ জানুয়ারি যশোর জেলাকে রেডজোন ঘোষণা করা করলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অনীহা থেকেই যাচ্ছে।যশোর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ রেহেনেওয়াজ জানান, রোববার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ২৬৬ টি নমুনা পরীক্ষায় ১০৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪০ টি র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় ৮৬ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। মোট শনাক্ত ১৯৪ জনের মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ১৫০ জন, অভয়নগর উপজেলায় ৩ জন, চৌগাছা উপজেলায় ৬ জন, ঝিকরগাছা উপজেলায় ২৬ জন , শার্শা উপজেলায় ৭ জন ও কেশবপুর উপজেলায় ১ জন রয়েছে। এর আগে ২১ জানুয়ারি ১২৯ জন, ২০ জানুয়ারি ৬৬ জন, ১৯ জানুয়ারি ৭৫ জন, ১৮ জানুয়ারি ৩৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন শনাক্তের বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থাকে অবহিত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে উদ্বেগের ধরণ বলে আখ্যায়িত করেছে। যবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর ও জেনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন জানান, ওমিক্রন খুবই দ্রুত সংক্রমনশীল। এ কারণে যশোর অঞ্চলে এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ৩০ শতাংশের অধিক নমুনা পজিটিভ শনাক্ত হচ্ছে। এজন্য সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের পাশাপাশি টিকা গ্রহণ, মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন শনাক্তের কাজটি জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে। অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন আরও জানান, একদিনে করোনা পজেটিভ শনাক্ত ১০৮ জনের মধ্যে ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রনের রোগী রয়েছেন ৩৫ জন। তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশি নাগরিক। আক্রান্তদের ঠান্ডা, গলা ব্যাথা, মাংশ পেশীতে ব্যাথা, হালকা জ¦র ছাড়া কোন গুরুতর উপসর্গ নেই। বিষয়টি সিভিল সার্জন অফিসকে অবগত করা হয়েছে। এরআগে ১২ জানুয়ারি আরও ৩ জনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়।
Leave a Reply