কক্সবাজারের চকরিয়ায় নির্বাচনী কার্যক্রম চালানোর সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা নাছির উদ্দিন নোবেল হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার নিহতের ছোট ভাই মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাতামুহুরী সাংগঠনিক আওয়ামীলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. খলিল উল্লাহ চৌধুরী ও পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিনসহ ২০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ১০-১২জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে ৩২জনকে আসামী করা হয়েছে। খলিল উল্লাহ চৌধুরী পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মামলা রেকর্ডের দুই ঘন্টা পর এজাহার নামীয় ৫ আসামীকে বাদী পক্ষের লোকজনের সহায়তায় চট্টগ্রামের হামজারবাগ ও নিজ এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরে বিকাল ৫টার দিকে পূর্ব বড় ভেওলার দিয়ারচর বাড়ির পাশ্ববর্তী এলাকা ও ধানক্ষেত থেকে নুরুল আমিনের ছেলে দুই সহোদর এনামুল হক (৫০) ও মো. শামীম (৪০) কে স্থানীয় জনতা পাকড়াও করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এরমধ্যে আহত এনামুল হককে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপর গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিএমচর ইউনিয়নের দিয়ারচর গ্রামের মো, ইউনুছের ছেলে নুরুল আলম (১৯), একই ইউনিয়নের বেতুয়ারকুল গ্রামের বশির আহমদের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (১৯) ও নাদির হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩৮)। চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, এজাহার নামীয় ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। আশাকরি সব আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো। প্রসঙ্গত, ১৭ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুরে চকরিয়া উপজেলার পূর্ববড় ভেওলার সীমান্ত বিএমচর ইউনিয়নের মুবিনপাড়ায় নাছির উদ্দিন নোবেল নির্বাচনী প্রচারণা কাজে গেলে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেন। এসময় আরো ১২জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে আজিজুল হক নামে এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে আহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
Leave a Reply